অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ইতোমধ্যে কলেজ অধ্যক্ষের নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনসহ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে দেখা করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে।
অধ্যক্ষ রওশন আলম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তুলারামপুর আশার আলো মহাবিদ্যালয়ের সাথে গড়ে তুলেছেন জে, আর, খান অটিজিয়াম ও প্রতিবন্ধী স্কুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন, কলেজের সাথে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন।
এলাকায় একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি সহজে বা বাধাহীনভাবে করার জন্য তার ভাইদেরসহ আত্মীয়-স্বজনদের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ রওশন আলম বলেন, ‘কলেজে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ পেয়েছেন। কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি।’
নিজের পরিবারের চারজনের চাকরি হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যোগ্যতানুযায়ী তাদের চাকরি হয়েছে। এখানে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি।’